বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে ইনফ্লেশন কমেছে এবং গ্রোথ পজিটিভ রয়েছে: আনিসুজ্জামান

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে ইনফ্লেশন কমেছে এবং গ্রোথ পজিটিভ রয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় একটি বিশেষ অর্জন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংস উপায়ে সরকার পতনের পর অর্থনৈতিক দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছিল, তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তার তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।

১২ আগস্ট, মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয়ে সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নিজের বক্তব্যের পক্ষে তিনি বিশ্বের কয়েকটি দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন।

ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যেসব দেশে সহিংসভাবে সরকার পরিবর্তিত হয়েছে, যেমন- ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ইরান, নিকারাগুয়া, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশ, সেখানে সরকার পরিবর্তনের পর প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে গিয়েছিল এবং মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে এবং গ্রোথ পজিটিভ রয়েছে।

তিনি বলেন, “এটি একটি মিরাকুলাস অ্যাচিভমেন্ট।” তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ১৯৯৭-৯৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় দারিদ্র্যের হার ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, রাশিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর, তাদের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। সেই সময়ে মূল্যস্ফীতি ৯০০ শতাংশের মতো ছিল।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছে, গত জুলাই মাসে বিশ্বব্যাপী স্টক মার্কেট র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ রয়েছে। স্টক মার্কেটের উঠানামার মধ্যেও বাংলাদেশের বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, যা প্রশংসনীয়।

কর্মসংস্থান বিষয়ে তিনি বলেন, “আইএলও’র নিয়ম অনুযায়ী আমরা কর্মসংস্থান বিবেচনা করি, তবে ইন্টারনেট যুগে অনেক মানুষ বাড়ি বসে আয় করছে। এটি আত্মকর্মসংস্থান হিসেবেই গণ্য হয়, যা আমাদের হিসাবের মধ্যে আসে না।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.