ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে: হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া জিতেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন।

এই মন্তব্যটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ বৈঠককে সামনে রেখে এসেছে।

অরবান, যিনি ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তার সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরুদ্ধে কিছু ইউরোপীয় নেতার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। একই সময়ে, তাঁর মন্ত্রিসভা মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য কাজ করছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পরও পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। গত সোমবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র নেতা হিসেবে তিনি এক যৌথ বিবৃতিতে সই করেননি, যেখানে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের তার স্বাধীনতা থাকা উচিত।

অরবান প্যাট্রিয়ট ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা এখন এমনভাবে কথা বলছি, যেন যুদ্ধ এখনো চলমান; কিন্তু তা নয়। ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে হেরেছেন। রাশিয়া এ যুদ্ধে জয়ী হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন শুধু প্রশ্ন, কখন ও কোন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পক্ষে থাকা পশ্চিমারা স্বীকার করবে যে এটি ঘটে গেছে এবং এর ফলাফল কী হবে।”

হাঙ্গেরি রাশিয়া থেকে তার বেশিরভাগ জ্বালানি আমদানি করে এবং ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকার করেছে। এছাড়া, ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিরোধিতা করেছেন অরবান, তার যুক্তি হচ্ছে এতে হাঙ্গেরির কৃষক ও বৃহত্তর অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে।

অরবান আরও বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে ইউরোপ পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এখন, ইউরোপের ভবিষ্যৎ তার অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্ধারিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, “আপনি যদি আলোচনার টেবিলে না থাকেন, তবে আপনি মেনুতে থাকবেন।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে অরবান বোঝাতে চাচ্ছেন যে, আলোচনার অংশ না হলে, আপনি সিদ্ধান্তের বিষয়বস্তু হয়ে যাবেন।

অরবান আরও বলেন, “যখন দুই নেতা—যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একসঙ্গে আলোচনায় বসবেন, আর আপনাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হবে না; তখন আপনি ফোনের জন্য হুড়োহুড়ি করবেন না, দৌড়াদৌড়ি করবেন না, বাইরে থেকে চিৎকারও করবেন না।”

এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যদি ইউরোপকে বড় কোনো রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক বৈঠকে আমন্ত্রণ না জানানো হয়, তবে তারা শুধু সেই সিদ্ধান্তের শিকার হবে এবং তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.