বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের কাছে কয়েক দশক পুরোনো ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সর্বশেষ সরকারি অডিটে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, একাধিক কূটনৈতিক ও আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত ৪০ বছর ধরে এসব ঋণ অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে।
সরকারি অডিটে দেখা যায়, পাকিস্তানের দেওয়া রপ্তানি ঋণের অর্থ ফেরত দেয়নি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, সুদান এবং গিনি-বিসাউ। এসব ঋণ ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে দেওয়া হয়েছিল।
অডিটের তথ্যানুযায়ী, ঋণের মধ্যে রয়েছে— ইরাক ২৩১.৩ মিলিয়ন ডলার, সুদান- ৪৬.৬ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ- ২১.৪ মিলিয়ন ডলার, গিনি-বিসাউ- ৩.৬ মিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের দাবি, বাংলাদেশকে এই অর্থ চিনি কারখানা ও সিমেন্ট প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, এটি প্রায় ২৬০ কোটি টাকার বেশি।
সামা টিভি জানায়, পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল অফিস ২০০৬-০৭ অর্থবছরে প্রথম এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। তবে দীর্ঘ সময়েও এসব অর্থ আদায়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঋণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে পত্রও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.