হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার কিছু সময় পরে জামায়াত আমির গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন।
এদিন বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে অনেক অনুরোধ ছিল। আমিরের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আল্লাহর ওপর ভরসা করে আমরা বাংলাদেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডা. শফিকুর রহমান নির্দিষ্ট দলের ভিতরে সীমাবদ্ধ ব্যক্তি নন উল্লেখ করে নায়েবে আমির বলেন, ‘তাকে পুরো জাতি শ্রদ্ধা করে। জাতি তাকে আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্বে অপরিহার্য বলে মনে করে।’
ডা. তাহের জানান, জামায়াত আমির সফল অপারেশনের ১০ দিন পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফিরছেন। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বাংলাদেশেই অপারেশন করাবেন।
ডা. তাহের আরও বলেন, জামায়াতের আমির দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন, এরপর তিন সপ্তাহ পর জনসমক্ষে সক্রিয় হবেন। ডা. শফিকুর রহমান আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন এখন, দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
নায়েবে আমির আরও জানান, দুই সপ্তাহ রেস্ট নেবেন। তিন সপ্তাহের পর স্বাভাবিক কাজে সক্রিয় হতে পারবেন।
মেডিকেল টিমের অন্যতম সদস্য ডা. শহীদ বলেন, চিকিৎসার পরে তার শরীরের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। আমরা তার সার্জারি পরবর্তী অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। দুই সপ্তাহ পর পুনরায় পরীক্ষা হবে।
এর আগে, গত ২ আগস্ট বাইপাস সার্জারির জন্য শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শফিকুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা সে দিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় বড় কোনো জটিলতা পাননি, তবে ধারণা করেছিলেন তিনি ডিহাইড্রেশনে ভুগেছেন।
ওই ঘটনার পর দুই দিনের বিশ্রাম শেষে তিনি রংপুর, খুলনা, মৌলভীবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। এরপর আবারও অসুস্থ হয়ে গত ৩০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষায় তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.