আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১০ দশমিক চার শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে, সাত দশমিক তিন শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে এবং দুই দশমিক আট শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দিতে চায়। আর আগামী নির্বাচনে কাকে ভোট দিবে এখনো এমন সিদ্ধান্ত নেননি ৪৮ শতাংশেরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে জরিপ কাকে ভোট দেবেন, তা বলতে রাজি হয়নি ১৪ দশমিক চার শতাংশ মানুষ।
ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বা বিআইজিডি’র জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। আট মাস আগে গত অক্টোবর মাসে একই প্রশ্ন করা হলে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ বিএনপি, ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ জামায়াত ও দুই শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ জরিপ অনুযায়ী আট মাস পরে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট কিছুটা কমলেও এনসিপির ভোট সামান্য বেড়েছে।
সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের মূল্যায়ন, সংস্কার, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়ে’ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
বয়সভেদে দলগুলোর জনসমর্থন নিয়ে যে জরিপ ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে দেখা যায়, ২৭ বছরের নিচে ৯ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১২ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে, সাত শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ এবং চার শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দিতে চায়।
আবার ২৮ থেকে ৩৫ বছরের মানুষের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তা সমান দেখা গেছে। অর্থাৎ এই বয়সের ১১ শতাংশ মানুষই বিএনপি ও জামায়াতকে ভোট দিতে চায়। তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পঞ্চাশোর্ধ ১৬ শতাংশ মানুষ বিএনপি, ৯ শতাংশ মানুষ জামায়াত, ৭ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ এবং চার শতাংশ মানুষের সমর্থন এনসিপির প্রতি।
অন্যদিকে, শিক্ষার স্তরভেদেও রাজনৈতিক দলগুলোর জনসমর্থনের বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা গেছে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত উভয়েরই প্রতিই জনসমর্থন রয়েছে শতকরা ১০ শতাংশ করে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং চার শতাংশ লোকের সমর্থন এনসিপির প্রতি।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন মানুষের মধ্যে আবার বিএনপির জনসমর্থন বেশি। এই ক্যাটাগরির ১৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন বিএনপির প্রতি, জামায়াতের প্রতি নয় শতাংশ, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং দুই শতাংশ মানুষের সমর্থন এনসিপির প্রতি।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, আর ১৫ শতাংশ মানুষ মনে করে সুষ্ঠু হবে না আগামী নির্বাচন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.