অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ালেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি রয়ে গেছে: সিপিডি

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে—এমন মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তবে সংস্থাটি মনে করছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র ও নিম্নআয় শ্রেণির মানুষ এখনো চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।

রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে এসব মন্তব্য করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধার ছিল সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। এই ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে সফলতা আসছে এবং ঝুঁকি কমছে—এটিই বড় অর্জন। তবে নাগরিকরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং অর্থনীতি স্থিতিশীল করার ব্যাপারে অনেক প্রত্যাশা করেছিলেন।”

সিপিডি জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর, প্রবৃদ্ধি মন্থর, এবং বহুমুখী সংকটে জর্জরিত। এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো বহু সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে।

সিপিডি একটি ৩৮ সূচকের স্কোরকার্ড প্রকাশ করেছে, যেখানে সবুজ, হলুদ ও লাল রঙে চিহ্নিত করে মূল্যায়ন করা হয়েছে সরকার কতটা অগ্রগতি অর্জন করেছে। ড. ফাহমিদা খাতুন জানান, এতে মাত্র ৯টি সূচক সবুজ রঙে রয়েছে, যা সামান্য অগ্রগতিরই প্রতিচ্ছবি।

তিনি বলেন, “অর্থনীতিকে পুনর্গঠনের জন্য যে শ্বেতপত্র ও টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছিল, তাদের সুপারিশগুলো এখনো কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।”

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কোনো বড় সংস্কার প্যাকেজ হাতে নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেও মন্তব্য করেছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইতোমধ্যে অর্জিত সাফল্যগুলো ধরে রাখা এবং অর্থনীতির অন্তর্নিহিত দুর্বলতা মোকাবিলা করা।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.