বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গ্যাস অনুসন্ধানে ডিপ ড্রিলিং বা গভীর কূপ খনন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে এই দুই গভীর অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। এজন্য চীনা প্রতিষ্ঠান সিএনপিসি চুংগিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বিজিএফসিএল। চুক্তির আওতায় তিতাস-৩১ কূপটি ৫ হাজার ৬০০ মিটার পর্যন্ত এবং বাখরাবাদ-১১ কূপটি ৪ হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) পেট্রোবাংলার বোর্ড রুমে এই চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তিতে বিজিএফসিএলের পক্ষে কোম্পানি সচিব মোজাহার আলী এবং সিসিডিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লি জিয়াওমিং সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই দুই কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারি ঋণ ৫৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং বিজিএফসিএলের নিজস্ব অর্থায়ন ২৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদকাল চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে ২০১১-২০১২ সালে বাপেক্সের মাধ্যমে পরিচালিত ৩ডি সাইসমিক জরিপ করা ডাটার ওপর ভিত্তি করে সম্ভাবনাময় কূপ দুটি খননের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জিওলজিক্যাল এবং জিওফিজিক্যাল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা জিওটেকনিক্যাল অর্ডার অনুযায়ী তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের অনাবিষ্কৃত উচ্চচাপ জোনের নিচে ৪টি স্তরকে এবং বাখরাবাদ ফিল্ডের অনাবিষ্কৃত উচ্চচাপ জোনের নিচে ২টি স্তরকে লক্ষ্য করে খনন করা হবে।
বলা হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কূপ খননের জন্য সিসিডিসি কাজ পেয়েছে। কূপ দুটি দেশে প্রথম উচ্চচাপ (প্রায় ১৫ হাজার পিএসআই) ও উচ্চ তাপমাত্রার (প্রায় ৩৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) কূপ হবে। নতুন স্তরে সফলভাবে খনন সম্পন্ন হলে দেশের গ্যাস খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং গ্যাস মজুদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা।
খনন শেষে তিতাস-৩১ গভীর কূপ হতে দৈনিক প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং বাখরাবাদ-১১ কূপ হতে দৈনিক প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.