পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগিরই বৈঠকে বসতে পারি: ট্রাম্প

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে খুব শিগগিরই বৈঠকে বসতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নিজেই এই সম্ভাবনার কথা জানান।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছিল।

এদিনই মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছে ক্রেমলিন। ট্রাম্পও বলেন, তাঁদের মধ্যে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে।

কিয়েভের একটি জ্যেষ্ঠ সূত্র জানায়, পুতিন-উইটকফ বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি ফোনালাপ হয়। ওই ফোনালাপে সম্ভাব্য ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। ফোনালাপে অংশ নেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফিনল্যান্ডের নেতারাও।

পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক কোথায় হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, “খুব শিগগির একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।”

এটি হলে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর প্রথম শীর্ষ বৈঠক হবে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠক হয় ২০২১ সালের জুনে, জেনেভায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে।

নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প আগামী সপ্তাহেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করছেন। এরপর তিনি পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজন করতে চান।

এদিকে ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বিশাল অগ্রগতি হয়েছে!” ট্রাম্প আরও বলেন, “এই যুদ্ধের অবসান করতেই হবে, সবাই একমত। আগামী দিন ও সপ্তাহগুলোতে আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করব।”

ট্রাম্প ইউরোপের কয়েকজন মিত্রকে এই অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করেছেন বলেও জানা গেছে। তবে হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, দুই দিনের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, স্টিভ উইটকফ মস্কো থেকে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ফিরেছেন। এই প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন, ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে।

তবে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুবিও বলেন, “অগণিত কাজ বাকি রয়েছে। এতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে।”

নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বৈঠক হলেও এখনো কোনো কার্যকর সমাধান আসেনি।

বর্তমানে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়াকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এরপরই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.