ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমে হতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার: গোল্ডম্যান স্যাকস

ভূরাজনীতি ও অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমতির দিকেই থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস।

ব্যাংকটির মতে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম হতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ ডলার, যা ২০২৬ সালে কমে গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৫৬ ডলারে। তবে যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক কিংবা দুর্বল অর্থনীতির মতো ঘটনাগুলো এই পূর্বাভাসকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে ব্যাংকটি।

রাশিয়া ও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে তেলের দাম পূর্বাভাসের তুলনায় বাড়তেও পারে বলে উল্লেখ করেছে গোল্ডম্যান স্যাকস।

এদিকে ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলো সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক ৫ লাখ ৪৭ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, রাশিয়া থেকে সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার এক অনলাইন বৈঠকে ওপেক প্লাসের আটটি সদস্য দেশ এ বিষয়ে একমত হয়। এর ফলে বাজারে তেলের দামে চাপ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যেই তেলের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। সোমবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৬৮ দশমিক ৬৫ ডলার, যা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কম। ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৬৬ দশমিক ১৭ ডলার, যা কমেছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ।

পিভিএম ব্রোকারেজের বিশ্লেষক তামাশ ভার্গা বলেন, “ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত বাজারে তেলের দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”

চলতি বছর ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। বছরের শুরু থেকে জ্বালানি তেলের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.