ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পরিচালকদের কারও আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো দ্বিমত বা পর্যবেক্ষণ থাকলে এখন থেকে তা কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি যেসব ব্যাংকের পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক রয়েছেন, তাঁরাও কোনো মতামত দিলে সেটি কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও পর্যবেক্ষকদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৪ আগস্ট) এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকের পর্ষদের সভায় কার কী ভূমিকা, তা বেশির ভাগ সময় কার্যবিবরণীতে উঠে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা বিভিন্ন ব্যাংকে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের ভূমিকা কী, সেটিও জানা যাচ্ছে না। ফলে অনেক সময় সৎ পরিচালকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার সুবিধাভোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে যেকোনো ঘটনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় উপস্থাপিত কোনো বিষয়ে কোনো সদস্য নোট অব ডিসেন্ট বা নিজস্ব মতামত দিলে তা কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রেই এ নির্দেশনা মানছে না। আবার সভায় উপস্থাপিত কোনো এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা বা পর্যবেক্ষণও যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না। ফলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের কার্যকর অংশগ্রহণ ও অবদান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
এ কারণে প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সভায় আলোচিত যেকোনো বিষয়ের ওপর পরিচালকদের দ্বিমত, ভিন্ন মতামত বা পর্যবেক্ষণ থাকলে তা কার্যবিবরণীতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সভায় আলোচিত সব পর্যবেক্ষণ বা সুপারিশও কার্যবিবরণীতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া কোনো ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক থাকলে এবং কোনো বিষয়ের ওপর ওই পর্যবেক্ষক মতামত বা পর্যবেক্ষণ দিলে, তা–ও কার্যবিবরণীতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.