শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল প্রথমবার ব্যবহার করলো বিমান

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ‘প্যাসেঞ্জার বোর্ডিং ব্রিজ’ (পিবিবি) ও ‘ভিজ্যুয়াল ডকিং গাইডেন্স সিস্টেম’ (ভিডিজিএস) প্রথমবারের মতো ব্যবহার করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।

সোমবার বিমানের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, তাদের ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ তিন নম্বর টার্মিনালের পিবিবি এবং ভিডিজিএস ব্যবহার করা প্রথম বিমান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন বিমানের ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন; কো-পাইলট ছিলেন ফার্স্ট অফিসার তাহসিন। এসময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদস্য (অপারেশনস অ্যান্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহবুব খান উপস্থিত ছিলেন।

যাত্রী নামানোর পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলমান পরীক্ষার অংশ হিসেবে জিডিজিএস, বোর্ডিং ব্রিজে বাহ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।

বিমান বলছে, তৃতীয় টার্মিনালে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি এবং বর্ধিত পরিষেবা সক্ষমতার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০১৭ সালে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এভিয়েশন কনসোর্টিয়াম ঢাকার (এডিসি) মাধ্যমে এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নির্বাচন সামনে রেখে থার্ড টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন (সফট ওপেনিং) করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় বেবিচক জানিয়েছিল, ২০২৪ সালেই পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হবে থার্ড টার্মিনালের। কিন্তু তা আর হয়নি। এরপর চলতি বছর দফায়-দফায় উদ্যোগ নিয়েও টার্মিনালটি চালু করা সম্ভব হয়নি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (ক্যাব) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টার্মিনাল ৩-এর এই পরীক্ষামূলক অপারেশন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.