আজ ৫ আগস্ট। ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’। বিপ্লবীরা যার নাম দিয়েছিলেন ৩৬ জুলাই। ২০২৪ সালের এই দিনে, ছাত্র-জনতার এক অভূতপূর্ব গণবিস্ফোরণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন। জনগণের লাথি খেয়ে উল্টে যায় স্বৈরাচারী হাসিনার ১৬ বছরের ক্ষমতার চেয়ার।
এই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে ‘৩৬ জুলাই’ নামে পরিচিতি পায়। দিনটি এখন জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশের মানুষ দিবসটি উদ্যাপন করছে নানা আয়োজনে।
আজ সকাল ৯টায় দেশের ৬৪ জেলায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে হয়েছে মোনাজাত ও প্রার্থনা। শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে দেশের মানুষ একত্র হয়েছে শ্রদ্ধা জানাতে।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’। মূল মঞ্চের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সাউন্ড, লাইটিং এবং নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা।
আজ বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দিবসটির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে থাকবে বিশেষ ড্রোন শো। এরপর রাত ৮টায় পরিবেশিত হবে ব্যান্ডদলের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.