বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি ভিসা ইনকর্পোরেশন ২০২৫ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও কোম্পানিটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স ধরে রেখেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মোট নিট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।
রবিবার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জিএএপি (GAAP) ভিত্তিক হিসাবে ভিসার নিট আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬৯ ডলার। নন-জিএএপি ভিত্তিতে নিট আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার এবং শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯৮ ডলার, যা যথাক্রমে ১৯ এবং ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মোট নিট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এই আয় বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি ছিল বৈশ্বিক পেমেন্ট কার্যক্রমের সম্প্রসারণ এবং ক্রস-বর্ডার ও প্রসেসড লেনদেনের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
ভিসার প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়ান ম্যাকনার্নি বলেন, “ভিসা আরও একটি শক্তিশালী প্রান্তিক অতিক্রম করেছে। চলতি প্রান্তিকে রাজস্ব, নিট আয় এবং শেয়ারপ্রতি আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বাড়ছে এবং আমরা প্রযুক্তি, এআই এবং স্টেবলকয়েনের মতো খাতে উদ্ভাবনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই মূল্য সৃষ্টিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, পেমেন্ট ভলিউম ৮ শতাংশ এবং মোট ক্রস-বর্ডার লেনদেন ১২ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপের অভ্যন্তরীণ লেনদেন বাদ দিলে, আন্তর্জাতিক ক্রস-বর্ডার ভলিউম ১১ শতাংশ বেড়েছে। প্রান্তিকজুড়ে ভিসা মোট ৬৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ করেছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে ১০ শতাংশ বেশি।
ভিসার বিভিন্ন খাতভিত্তিক আয়েও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। সার্ভিস রেভিনিউ ৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, ডেটা প্রসেসিং রেভিনিউ ১৫ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে আয় ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং অন্যান্য আয় ৩২ শতাংশ বেড়ে ১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তবে জিএএপি ভিত্তিক পরিচালন ব্যয় ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ বিলিয়ন ডলারে, যার অন্যতম কারণ ছিল মামলার জন্য বরাদ্দ ও কর্মী-সংক্রান্ত ব্যয়। নন-জিএএপি ভিত্তিতে পরিচালন ব্যয় ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
প্রান্তিক শেষে ভিসার হাতে নগদ অর্থ, সমমান ও বিনিয়োগ মিলিয়ে মোট ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছিল। এই আর্থিক অবস্থান কোম্পানিটির স্থায়িত্ব ও ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
ভিসার সফলতা প্রযুক্তিতে কৌশলগত বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছে কোম্পানিটি।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.