গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করেছে ছাত্রদল। মঞ্চ নির্মাণসহ সমাবেশের আয়োজন ভোরবেলাতেই সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি।
রবিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটায় শাহবাগ এলাকায় ছাত্রদলের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়।
এদিকে সমাবেশ মঞ্চ ও সাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্য প্রস্তুতি চলতে থাকলেও এর আগেই আশেপাশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছে। সমাবেশে আসা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বলছেন, আজকের সমাবেশ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ের একটি প্রতীক। শান্তিপূর্ণভাবে নানা দাবি তুলে ধরতেই এই আয়োজন।
সকাল থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশ ঘিরে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মৎস্যভবন সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।
শাহবাগ মোড়ের ঠিক মাঝখানে দক্ষিনমুখী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল আকৃতির ডিজিটাল পর্দাও।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদলের শহীদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণ নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শুক্রবার ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এর মধ্যে রয়েছে-সমাবেশে কোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসা যাবে না। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক ইউনিটকে থাকতে হবে।
কাঁটাবন মোড় থেকে আজিজ সুপার মার্কেট ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝের গলি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহনকে চলাচলে সার্বিক সহায়তা করতে হবে বলে ছাত্রদল জানিয়েছে।
এছাড়া সংগঠনের নেতাকর্মীকে বহনকারী কোনো গাড়ি কোনো অবস্থাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত শোডাউন ও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না। সমাবেশ শেষে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নির্ধারিত স্থান পরিষ্কার করে যেতে হবে।
সমাবেশের চারপাশে ১০টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রও বসানো হয়েছে।
ছাত্রদলের এই সমাবেশ করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তবে এনসিপির অনুরোধ রেখে, স্থান পরিবর্তন করে শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রদল।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.