বাটা সু’র দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৫ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ১৩ টাকা ৭৩ পয়সা আয় হয়েছিল।

আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ১৯ টাকা ৮৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ২৭ টাকা ১৬ পয়সা।

দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৯ টাকা ৩৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ১১ টাকা ৫০ পয়সা ছিল।

গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২৯ টাকা ৬০ পয়সা।

 

২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক ও প্রথমার্ধের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করল বাটা বাংলাদেশ

 

এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আথৃইক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে বাটা সু কোম্পানি স্বচ্ছতা এবং টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়,  ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বাটা বাংলাদেশ একদিকে যেমন বাণিজ্যিকভাবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে, একইসাথে কিছু অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হয়। বছরের শুরুতেই, প্রথম প্রান্তিকে, ঈদ মৌসুমের কারণে ইতিবাচকভাবে এ বছর শুরু করে বাটা বাংলাদেশ। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি সুপরিকল্পিত বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং বাজারে নতুন পণ্য নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে, ক্রেতাদের ইতিবাচক সাড়া এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয়।

তবে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার কারণে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা তৈরি হয়। দেশের কয়েকটি আউটলেটে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এর প্রভাব গিয়ে পড়ে আর্থিক ফলাফলেও। তবে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সত্ত্বেও অংশীজনদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে বাটা বাংলাদেশ টেকসই কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। এ সময়েও বাটা ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধার ও ক্রেতা সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে।

এ বিষয়ে বাটা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবব্রত মুখার্জি বলেন, “ঈদুল আজহার সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, তা আমাদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। দেশজুড়ে ক্রেতা ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক ও আস্থাই এর প্রমাণ।”

সামনের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবন ও দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় জুতার ডিজাইন বাজারে আনার পাশাপাশি মান ও বহু বছরের অর্জিত আস্থা ধরে রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাবে বাটা বাংলাদেশ।

 

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.