ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়ে কর্মশালা করবে বিসিবি

গত দু’দিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাসকিন আহমেদ। বন্ধুদের ডেকে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ এবং তার জীবনাচরণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। যদিও মারধরের ব্যাপারটিকে প্রথম থেকেই মিথ্যে এবং বানোয়াট দাবি করছেন তাসকিন আহমেদ। পুরো ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সম্প্রতি বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজে। সেখানে তিনি জানান, ‘আমরা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আগামী আগস্টেই একটা ছোট্ট কর্মশালা করার পরিকল্পনা করছি। আমাদের মনে হয়, ক্রিকেটাররা কী করতে পারবে, কী করতে পারবে না সেটা তাদের মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তারা কিন্তু শুধুমাত্র ক্রিকেটার নয়। তারা একই সঙ্গে অনেক তরুনদের আইডল। তরুণরা তাদেরকে অনুসরণ করে। সুতরাং ভক্তদের কাছে ক্রিকেটারদের একটা জবাবদিহিতা থাকা উচিৎ।’

পাশাপাশি মিঠু জানান, প্রথমে তাসকিনকে দোষী প্রমাণিত হতে দিন। একটি মামলা হয়েছে এবং তারপর তদন্ত করা হবে। এটি এখন ক্রিকেট বোর্ডের বাইরে। তাসকিন বলেছেন যে তিনি এতে জড়িত নন। এখন পুলিশ এটি তদন্ত করবে কারণ একটি জিডি হয়েছে। ফলাফল আসবে এবং তার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি।

ঘটনার শুরুটা ২৮ জুলাই সকালে। হঠাৎ করেই গণমাধ্যমের খবর, নিজের এক বন্ধুকে গাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করেন তাসকিন। সেটিও মদ্যপ্য অবস্থায়। আর সেই অভিযোগ এনেই মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাসকিনেরই ছোটবেলার বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ। সেই সাধারণ ডায়েরির ব্যাপারে বলতে গিয়ে পুলিশ জানায়, মিরপুরের সনি সিনেমা হলের সামনে ডেকে অভিযোগকারীর মুখে তাসকিন ঘুষি মেরেছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও শুরু থেকেই তাসকিন অস্বীকার করে আসছিলেন তার ব্যাপারে আসা অভিযোগ নিয়ে। ক্রিকফ্রেঞ্জিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতকারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসেও তিনি লিখেন, দর্শক এবং ভক্তরা যেনো গুজব বিশ্বাস না করেন। এমনকি বন্ধুদের সাথে সব সমস্যা মিটমাট হয়েছে বলেও দাবি করেন এই টাইগার পেসার।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.