পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল আমাদের শহরের গর্ব ছিলেন: নিউইয়র্কের মেয়র

শোকস্তব্ধ বাংলাদেশি কমিউনিটি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। তাঁর মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সোমবার (২৮ জুলাই) (স্থানীয় সময়) সকালে ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ের একটি বহুতল ভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দিদারুল। হঠাৎ সেখানে ঢুকে পড়েন এক বন্দুকধারী, যিনি লাস ভেগাস থেকে গাড়ি চালিয়ে এসেছিলেন। এলোপাতাড়ি গুলিতে চারজন নিহত হন, তাঁদের মধ্যেই প্রথম ছিলেন দিদারুল। পরে বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করেন।

নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তিনি মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন, ইউনিফর্মের বাইরেও তিনি ছিলেন আমাদের শহরের গর্ব।”

ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার এলাকায় দিদারুলের নিজস্ব বাসায় শোকের মাতম চলছে। দুই সন্তানের জনক দিদারুলের স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। বাড়িতে পরিবারের সদস্য ও বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষজন সমবেদনা জানাতে ভিড় করছেন। ইমাম, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা সবাই এসেছেন দোয়া ও সহানুভূতি জানাতে।

পারিবারিক বন্ধু মারজানুল করিম বলেন, “তিনি বাংলাদেশি তরুণদের চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করতেন। সব সময় বলতেন, মানুষের সেবা করো, তুমিও সফল হবে।”

পুলিশে যোগ দেওয়ার আগেই দিদারুল ছিলেন একজন স্কুল সিকিউরিটি অফিসার। পরে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শ্যালক সালমান আহমেদ বলেন, “আমরা কখনো ভাবিনি তাঁর চাকরিতে এমন বিপদের মুখে পড়তে হবে।”

প্রতিবেশীরা জানায়, দিদারুল নিয়মিত মসজিদে যেতেন এবং হজ পালন করে আসার পর একাধিকজনকে নামাজের উপহার দিয়েছিলেন।

কমিউনিটির একজন বলেন, “তিনি একজন বীরের মতো মারা গেছেন। নিজের জীবন দিয়ে অন্যের জীবন রক্ষা করেছেন। তাঁর এই আত্মত্যাগ প্রবাসী সমাজ কখনো ভুলবে না।”

অর্থসূচক/ এএকে

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.