নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বন্দুকধারীর গুলিতে এক বাংলাদেশিসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (NYPD) ছুটিতে থাকা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (AP) জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্ক শহরের একটি অফিস ভবনে এই হামলা চালানো হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর হামলাকারী নিজেই আত্মহত্যা করেন।

নিহত দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিন বছর ছয় মাস কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা এবং তার দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন,

“তিনি যেমন বেঁচেছেন, তেমনই বিদায় নিয়েছেন— একজন বীরের মতো।”

বন্দুকধারী শেন তামুরা, লাস ভেগাসের বাসিন্দা। তার মানসিক স্বাস্থ্যজনিত ইতিহাস ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হামলার উদ্দেশ্য এখনো অস্পষ্ট।

নিরাপত্তা ক্যামেরায় দেখা যায়, একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে এম৪ রাইফেল হাতে নিয়ে ভবনের দিকে এগিয়ে যান হামলাকারী।

ভবনে ঢুকেই তিনি পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালান, এরপর এক নারীকে গুলি করেন যিনি আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন।
পরে ভবনের লবিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে, উপরের তলায় গিয়ে আরও একজনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন।

ঘটনার পরপরই নিউইয়র্ক ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে ভবনে পৌঁছায়।
ভবনটিতে ব্ল্যাকস্টোন, আয়ারল্যান্ড কনসুলেট, ন্যাশনাল ফুটবল লিগসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জেসিকা চেন বলেন, “আমি দ্বিতীয় তলায় ছিলাম, হঠাৎ নিচ থেকে একের পর এক গুলির শব্দ শুনি। সবাই মিলে কনফারেন্স রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিই।”

ঘটনার পর শহরের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ যানজট, রোডব্লক এবং গণপরিবহন বিঘ্নের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
উল্লেখ্য, এ বছর এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কে গুলি সংক্রান্ত সহিংসতা ও হত্যার হার কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.