স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত থেকে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া “অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে” সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম।
তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতি চলমান উত্তেজনা কমাতে সেইসাথে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন ম্যানেট এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত নেতা ফুমথাম ভেচায়াচাই দুজনই তাদের “অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা ও অবস্থান প্রকাশ করেছেন।
উভয় দেশের সামরিক কমান্ডাররা মঙ্গলবার সকাল ৭টায় একটি “অনানুষ্ঠানিক বৈঠক” করবেন। এর পরে ৪ অগাস্ট আসিয়ান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেদের বৈঠক হবে।।
হুন ম্যানেট বলেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে আলোচনার ফলে দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্গঠিত হবে। সেইসাথে উভয় দেশের লাখ লাখ মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ভেচায়াচাই বলেন, তার দেশ “সদিচ্ছার সাথে” যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং থাইল্যান্ড শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই দুই দেশের নেতা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানান। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সাম্প্রতিক সংঘাতে উভয় পক্ষের প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার নেতা আনোয়ার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা সরকারকে মধ্যস্থতায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
থাইল্যান্ডের নেতা ফুমথাম ভেচায়াচাইকেও আলোচনায় তার “গঠনমূলক” অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ট্রুথ সোশালে হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছেন, যুদ্ধ থামা পর্যন্ত বাণিজ্য আলোচনা “সম্পূর্ণ বন্ধ”।
রোববার তিনি আবার সোশাল মিডিয়ায় বলেন, আমি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি এবং বলেছি, ‘তোমরা যুদ্ধ না মেটানো পর্যন্ত আমরা বাণিজ্য চুক্তি করব না’।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.