গাজায় অপুষ্টিতে নিহত আরও ১৪

গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় অপুষ্টিতে আরও ১৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুইটি শিশু রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

তারা বলছে, অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে মোট ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৮৮টি শিশু রয়েছে। এদিকে গাজার কিছু অংশে সামরিক যুদ্ধবিরতি চলছে। এর মধ্যে সীমিত হারে ত্রাণ ঢুকতে শুরু করেছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচারের ধারণা মানবিক বিরতি “এক সপ্তাহের মতো” চলবে। যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছিল “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত”।

ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট, যারা গাজায় সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে, তারা বলছে এর মধ্যে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ১২০টির বেশি ট্রাকের ত্রাণ বিতরণ করেছে। আরও ১৮০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে এবং বিতরণের অপেক্ষায় আছে, সাথে শত শত ট্রাক এখনও প্রবেশের লাইনে রয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা ( ইউএনআরডব্লিউএ) বলছে, গাজার প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক সাহায্য প্রয়োজন।

টম ফ্লেচার বলছেন জাতিসংঘের লক্ষ্য “আগামী কয়েক সপ্তাহে” গাজার প্রত্যেকের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো, কিন্তু এজন্য সীমান্ত খোলা, অনুমতি ও নিরাপত্তা দরকার। জাতিসংঘের ত্রাণ সাধারণ মানুষ লুটপাট করায় জাতিসংঘ কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ফ্লেচারের দাবি তিনি চান গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন যেন “আরো নীতিগত, মানবিক উপায়ে” সাহায্য বিতরণ করে। কারণ তিনি দেখেছেন সাহায্য আনতে গিয়ে মানুষ নিহত হয়েছে।

উত্তর গাজায় ত্রাণ সংগ্রহকারী এক তরুণ জানিয়েছেন যে তিনি সাহায্যের ট্রাক থেকে এক ব্যাগ আটা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বিবিসিকে তিনি জানান, আমরা এখানে এসেছি আমাদের পরিবারের জন্য সাহায্য নিতে। মানুষ এখানে মৃত্যুর মুখে এসে দাঁড়াচ্ছে, শিশুরা না খেয়ে বা পানি না খেয়েই ঘুমোতে যাচ্ছে। এই অবস্থা আর কতদিন চলবে? আমাদের জন্য সমাধান বের করুন।

সাহায্য ট্রাকের মাধ্যমে আসছে, আবার বিমান থেকেও ফেলা হচ্ছে। তবে এই তরুণ বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ “সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান” করার কথা জানান। “কারণ তিনি একে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন।”

সেভ দ্য চিলড্রেন হিউম্যানিটারিয়ান ডিরেক্টর র‍্যাচেল কামিংস গাজা থেকে বিবিসি নিউজ চ্যানেলে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় প্রতিটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, এবং প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক এমনকি সেইভ দ্য চিলড্রেনে কর্মরত সবাই “অত্যন্ত রোগা” হয়ে পড়েছে।

“গাজা সম্পূর্ণভাবে অনাহারের ঝুঁকিতে” আছে এবং শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.