সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর প্রথমবারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ তাহা আল-আহমদ জানান, আগামী ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২৮ জুলাই) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত বছর ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভ্যুত্থানে বাশার আল-আসাদের শাসন পতন ঘটে এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এর ফলে নতুন শাসকদের অধীনে এটি সিরিয়ায় প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিটির সদস্য হাসান আল-দাঘিম ইআরইএম নিউজকে জানান, নির্বাচিত আসনগুলোর জন্য ভোট দিতে সিরিয়ার প্রতিটি প্রদেশে একটি করে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠন করা হবে।
সিরিয়ার পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ২১০, যার এক-তৃতীয়াংশ আসনে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সদস্য মনোনীত করবেন। বাকি আসনগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
চলতি বছরের মার্চে আহমেদ আল-শারা স্বাক্ষরিত অন্তর্বর্তী সংবিধানে ‘পিপলস কমিটি’ গঠনের কথা বলা হয়। এটি একটি অন্তর্বর্তীকালীন পার্লামেন্ট হিসেবে কাজ করবে, যতক্ষণ না একটি স্থায়ী সংবিধান গৃহীত হয় এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
নির্বাচনের ঘোষণা এমন একটি সময়ে আসলো যখন সিরিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন শাসকদের নিয়ে বিভক্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে এ মাসের শুরুতে দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদা প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ওই সহিংসতায় কয়েক শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
সুয়েইদা প্রদেশের সংঘর্ষ বেদুইন গোষ্ঠী ও দ্রুজ সংখ্যালঘু যোদ্ধাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অপহরণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী সেখানে যায়, কিন্তু অভিযোগ রয়েছে তারা বেদুইন গোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক দ্রুজদের হত্যা, ঘরে আগুন দেওয়া ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষার কথা বলে ইসরায়েল সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালিয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.