জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৭ জুলাই)‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘হেপাটাইটিস: লেটস ব্রেক ইট ডাউন’- যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, লিভার রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করা এবং বিদ্যমান নানা কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে লিভার রোগের প্রকোপ দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। দেশে প্রতিবছর বহু মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার এবং লিভার ফেইলিওরের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। আশার কথা, সচেতনতা ও সময়মতো সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব।
সরকার সারা দেশের হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদান কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে ড. ইউনূস দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.