যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ‘দারুণ অগ্রগতি’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বৃহস্পতিবার লন্ডনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সই করার পর সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
চুক্তি সইয়ের একাধিক সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও গোয়েল এবার আশাবাদী বলে জানান। তাঁর ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবেই এগোচ্ছে এবং দু’দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব গড়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।
রবিবার (২৭ জুলাই) লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১ আগস্ট-এর মধ্যে চুক্তিতে সই না হলে ভারতের পণ্যে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হবে। চলতি বছরের ২ এপ্রিল ভারতের কিছু পণ্যে ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যা পরে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এরপর চুক্তি সইয়ের সময়সীমা ধাপে ধাপে ৯ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
চুক্তির অন্যতম জটিল বিষয় হচ্ছে কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্য। যুক্তরাষ্ট্র এসব পণ্যে ভারতের বাজারে নিম্ন শুল্ক সুবিধা চায়, যা নিয়ে ভারত বরাবরই সতর্ক। কারণ খাদ্যনিরাপত্তা ও কোটি কোটি কৃষকের জীবিকা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ প্রসঙ্গে পীযূষ গোয়েল বলেন, “আলোচনার বিষয়গুলো আলোচনা কক্ষেই থাকা উচিত।” তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, খাতভিত্তিক সমঝোতার ভিত্তিতে ভারত পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দিকেও এগোতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা ভারতের কৃষিখাতে আরও বাজারসুবিধা চায়। এদিকে ভারত ইতোমধ্যে বার্বন হুইস্কি ও মোটরসাইকেলসহ কিছু আমদানি পণ্যে শুল্ক হ্রাস করেছে। তবু ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি এখনো ৪৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, যা নিয়ে ট্রাম্প সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
বর্তমানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দাঁড়িয়েছে ১৯০ বিলিয়ন ডলারে। দুই দেশের নেতৃত্ব— নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প— এই পরিমাণকে বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে আগ্রহী।
গোয়েল রয়টার্স ও ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি বিশ্বাস করেন শেষ সময়সীমার আগেই অন্তর্বর্তী চুক্তি হবে, যদিও এখনও কিছু বিষয়ে স্পষ্ট সমাধান হয়নি।
অর্থসূচক/ এএকে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.