গ্রিন শিপইয়ার্ডে উন্নীত না হলে জাহাজভাঙা কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে: নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত যেসব জাহাজভাঙা কারখানা এখনো ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রিন শিপইয়ার্ডে রূপান্তরিত হতে পারবে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সীতাকুণ্ডে একটি জাহাজভাঙা কারখানা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬টি কারখানা গ্রিন সার্টিফিকেট (সনদ) নিয়েছে। বাকিগুলো এখনও পদ্ধতিগত উন্নয়ন করেনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব কারখানা পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ কাঠামোয় রূপান্তরিত না হলে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।”

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন জানান, দেশের শিপব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রি পূর্বের তুলনায় অনেক দূর এগিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টিকে থাকতে হলে গ্রিন শিপ রিসাইক্লিংয়ের মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যারা কারখানাগুলোর সমস্যা ও সক্ষমতা মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা শিগগিরই শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করব যাতে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।”

সাখাওয়াত হোসেন জানান, সীতাকুণ্ডের মতো একটি ছোট্ট স্থানে ১১৩টি জাহাজভাঙা কারখানা থাকায় এলাকা হয়ে উঠেছে বিপদসংকুল। তিনি বলেন, “এতো বেশি কারখানা এক জায়গায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে এসব কারখানাকে অন্য কোথাও স্থানান্তরের সম্ভাবনাও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজ এ সব কারখানায় ভাঙা সম্ভব হলেও বড় জাহাজের জন্য এ জায়গা উপযোগী নয়। এতদিন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এখন গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।”

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.