ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের ২২০ জনের বেশি সংসদ সদস্য (এমপি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নয়টি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমপিরা এ বিষয়ে স্টারমারকে একটি চিঠি দিয়েছেন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অনেক এমপিও আছেন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এদিকে ইউরোপের শক্তিশালী দেশ ফ্রান্স আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখো দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ফ্রান্সের ঘোষণা এবং নিজ দেশে প্রভাবশালী এমপিদের আহ্বান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের উপর চাপ বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বৃটিশ এমপিদের স্বাক্ষর করা যৌথ চিঠিতে তারা বলেন, ‘আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিন।’
উল্লেখ্য, ২৮ ও ২৯ জুলাই জাতিসংঘের উদ্যোগে এই সম্মেলনটি ফ্রান্স ও সৌদি আরবের সহ-সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বুঝি, যুক্তরাজ্যের একার পক্ষে স্বাধীন ও মুক্ত ফিলিস্তিন গঠন সম্ভব নয়। তবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেবে বিশ্বকে।’
সেইসঙ্গে, ব্রিটেনের ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণা’র মাধ্যমে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ছিল; এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াও আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
এ চিঠিতে কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, স্কটিশ ওয়ানেশনাল পার্টি এবং ওয়েলসের প্লাইড কামরিসসহ বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্যরা স্বাক্ষর করেন। এতে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তির পক্ষে যুক্তরাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জোরালো হয়েছে।
এদিকে, স্টারমার সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভেতরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির পক্ষে এই যে ক্রমবর্ধমান চাপ, তা লেবার সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.