আমরা এমন একটা দেশে বাস করি, যেখানে বাসের ফিটনেস থাকে না, বিমানের ফিটনেস থাকে না, এমনকি মানুষেরও ফিটনেস থাকে না। শেখ হাসিনা আমাদের জন্য একটি ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা বর্তমান প্রজন্ম ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই রাষ্ট্র রেখে যেতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এনসিপির পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি। এখন গণতান্ত্রিকভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। এজন্য আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি, মানুষের কাছে কথা শুনছি।’
এখনও লড়াই শেষ হয়নি উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ, নতুন বন্দোবস্তু প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব।’
পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা আপনাদের চিনতাম না, আপনারাও আমাদের চিনতেন না। ইতিহাস ও সময় আমাদের সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ, গুম, খুন, গণহত্যার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর নেতারা যখন আন্দোলন এগিয়ে নিতে পারছিলেন না, তখন জনতা রাস্তায় নেমে আসে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে প্রকৃত বিজয়ী জনগণ। জনগণকে নিয়েই আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুজিববাদ এখনও নানাভাবে, ছলে-বলে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই দেশে মুজিববাদের জায়গা হবে না। মুজিববাদ মানেই একদলীয় শাসন, লুটেরা, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল। মুজিববাদকে এই দেশে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জে এসে সার্কিট হাউসে ওঠেন। আজ শুক্রবার সকালে সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সার্কিট হাউসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় মডেল জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় শেষে সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে যায় আলফাত স্কয়ারে। সেখানে বেলা আড়াইটার পথসভা শুরু হয়।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.