গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিশন

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঘটনায় ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। সাবেক বিচারপতি মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে এই কমিশন গঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ এর অধীনে গঠিত কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন—জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম, ২১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক সরদার নূরুল আমিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ সিদ্দিকী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মূল কারণ নির্ধারণ, দায়ী ব্যক্তি ও সংগঠনকে চিহ্নিতকরণ, আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ, সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতের জন্য করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদানই হবে এই কমিশনের প্রধান কাজ।

তদন্ত কমিশন প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য নিয়োগ এবং প্রত্যক্ষদর্শী বা সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি নিতে পারবে। সরকার কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে বলে জানানো হয়েছে।

১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় এনসিপির পূর্বনির্ধারিত জনসভায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও নিষিদ্ধ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। ঘটনার জেরে স্থানীয় প্রশাসন প্রথমে ১৪৪ ধারা এবং পরে কারফিউ জারি করে। সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ঘটে, হামলা হয় জেলা কারাগারসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায়।

তদন্ত কমিশন আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত, পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশসহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।

অর্থসূচক/ বাসস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.