বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২২ মরদেহ হস্তান্তর

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ২৯ জন। এর মধ্যে ২২ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে এই হালনাগাদ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, নিহতদের মধ্যে ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত করে ইতোমধ্যে তাদের পরিবার ও আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জনের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং অজ্ঞাত ১ জনের মরদেহ লুবানা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের মর্গে সংরক্ষিত আছে। এসব মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম চলমান আছে।

এদিকে আজ পর্যন্ত ২৯ জন মারা গেছেন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৭ জন। এদিন ১১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এবং একজন নতুন করে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইএসপিআর এর সঙ্গে সমন্বয় করেই এই তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হালানাগাদ তথ্য বলছে, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৯ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে একজন, শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন আছেন।

তথ্য বলছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ১২ জন এবং উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজন ছাড়া পেয়েছেন। আর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নতুন করে একজন ভর্তি হয়েছেন।

আর নিহতদের মধ্যে ১১ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ১৫ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ), একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, একজন লুবানা জেনারেল হাসপাতালে এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।

আইএসপিআর এর সঙ্গে তথ্যে গড়মিল কেন হচ্ছে? এর ব্যাখ্যায় প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গতকাল জানিয়েছেন, উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল থেকে একজনের মৃতদেহ সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। সেই সংখ্যাটি নিয়ে আমাদের তথ্যের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। আমরা বলেছি ১৫ জন, সিএমএইচে ১৫ জনের মৃতদেহ আছে। যদিও আইএসপিআরের তথ্যে ১৬ জন বলা আছে। তথ্যের পার্থক্যগুলো দূর হতে একটু সময় লাগবে। এছাড়া আইএসপিআরের তথ্যে লুবানা হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওই হাসপাতালের তথ্য সম্পর্কে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রিতে কোথাও মৃত্যু নেই। কিন্তু তারা মুখে বলছে, দুই জনকে মৃত অবস্থায় তাদের অভিভাবকেরা নিয়ে এসেছিলেন। ওই দুই জনের নাম পরে কোনও হাসপাতালে আসেনি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.