দেশের সারের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া, কানাডা ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৯২ কোটি ৪৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি “ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন (প্রডিংটরগ)” ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। এই সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৫১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি ইন্টারন্যাশনাল এবং বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২১১ কোটি ৮১ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৭৪ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
মরক্কোর একই প্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই সারও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭৭০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই এমওপি সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৫১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.