উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৪৪ জনের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া গুরুতর অবস্থা ১৩ ও বাকি ২৩ জন মধ্যবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে মোট ৪৪ জন ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩৭ জন শিশু। দগ্ধ ১৩ জনের অবস্থা ‘সিভিয়ার’ এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট। শেষ ধাপের রোগীরা দ্রুত সেরে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর থেকে একজন চিকিৎসক এসেছেন। তিনিসহ এই হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা সমন্বিতভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করছেন।
অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক রোগীদের অবস্থা মূল্যায়ন করতে এবং তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে সহায়তা করছেন। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় রোগীদের অবস্থা মূল্যায়ন করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অবস্থার উন্নতি হলে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে থাকা রোগীকে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে সিভিয়ার হিসেবে বিবেচিত রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে নেওয়া হচ্ছে।
কাউকে বিদেশে পাঠানো হতে পারে কি না, জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে না।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.