মালয়েশিয়ায় দেওয়া হবে নগদ অর্থ সহায়তা, কমানো হচ্ছে জ্বালানির দাম

জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে জনমনে অসন্তোষ বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম নতুন আর্থিক সহায়তা ও জ্বালানি মূল্যে ছাড়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে আনোয়ার বলেন, দেশের সকল ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকরা ১০০ রিংগিট (প্রায় ২৩.৬৭ ডলার) করে এককালীন নগদ সহায়তা পাবেন, যা আগামী ৩১ আগস্ট থেকে বিতরণ শুরু হবে।

দেশটির সরকার ২০২৫ সালে মোট ১৫ বিলিয়ন রিংগিট (প্রায় ৩.৫৫ বিলিয়ন ডলার) নগদ সহায়তা প্রদান করবে, যা পূর্বে নির্ধারিত ১৩ বিলিয়নের চেয়ে বেশি।

এই ঘোষণা কুয়ালালামপুরে সম্ভাব্য এক বিশাল বিক্ষোভের প্রাক্কালে এলো। বিক্ষোভের আয়োজকরা দাবি করছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ জরুরি। পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিতে পারে।

আনোয়ার বলেন, আমি মানুষের অভিযোগ স্বীকার করছি এবং মেনে নিচ্ছি যে জীবনযাত্রার ব্যয় এখনো বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

তিনি জানান, দারিদ্র্যপীড়িত জনগণের জন্য আরও কিছু সহায়তা কর্মসূচি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহুল ব্যবহৃত পরিবহন জ্বালানি আরওএন৯৫-এর ওপর থাকা সার্বজনীন ভর্তুকি পুনর্গঠনের একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পরিকল্পনার বিস্তারিত সেপ্টেম্বরের শেষে ঘোষণা করা হবে।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, জ্বালানির পাম্প মূল্য ২ দশমিক ০৫ রিংগিট থেকে কমিয়ে ১ দশমিকক ৯৯ রিংগিটে আনা হবে। তবে বিদেশি নাগরিকদের জন্য বাজারদরের ভিত্তিতে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করা হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের নগদ সহায়তা ও জ্বালানি ভর্তুকি অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তার মাঝে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে, এর ফলে সরকারি বাজেটের ওপর চাপ পড়বে।

কেনাঙ্গা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন সাপুয়ান বলেন, এই পদক্ষেপগুলো জরুরি হলেও সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ ও ব্যয়ের ভারসাম্য নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.