গেল কয়েক ম্যাচের ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনে একাদশ সাজিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। তানজিদ হাসান তামিমের স্থানে একাদশে সুযোগ পান নাঈম শেখ। তার সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে আসেন পারভেজ হোসেন ঈমন। সালমান মির্জার শুরুর ওভারে দুই ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৩ রান। পরের ওভারে ফাহিম আশরাফের প্রথম বলে উড়িয়ে নিয়ে ২ রান নিলেও তৃতীয় বলে এই পেসারকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন নাইম। ৭ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। কয়েক ম্যাচ পর সুযোগ পেয়ে তা এবার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন নাইম।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাইম শেখকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে তিনে নামা লিটন দাস ও পারভেজ ইমন মিলে দলের হাল ধরার চেষ্টায় আছেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে সালমান মির্জাকে কাট করে ৪ মারেন লিটন। কিন্তু এরপরের বলে এই পেসারকে পুল করতে গিয়ে মিস করেন বাংলাদেশ দলপতি।
পরের ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসা ফাহিম অবশ্য শুরুর ৩ বলে ইমনকে কোন রান করতে দেননি। কিন্তু এরপরের দুই বলে ফাহিমকে ছক্কা ও চার মেরে বসেন ইমন। তবে ইমন যে গতিতে রান তুলছিলেন, সেই গতিতে তার কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলেন লিটন। তাই তো সালমান মির্জাকে পরের ওভারের প্রথম বলেই পুল শটে বাউন্ডারি পার করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮ রানে ডিপ মিড উইকেটে ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
তাওহীদ হৃদয় হয়েছেন রান আউট। আর ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে পারভেজ হোসেন ইমন আউট হয়েছেন আহমেদ দানিয়েলের বলে ফাহিম আশরাফকে ক্যাচ দিয়ে। ১৪ বলে ১৩ রান করে ফিরেছেন তিনি। বাংলাদেশ ৬ ওভারের মধ্যে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। দানিয়েলের বলে ইমন ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মিড উইকেট দিয়ে। তবে বল সোজা চলে যায় ফাহিমের হাতে। ফলে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশের এই ওপেনারকে।
পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের হাল ধরেন জাকের আলী ও শেখ মেহেদী। এদিন উপরে ব্যাট করতে নেমে সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন মেহেদী। এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই ১০ ওভারে দলীয় ৫০ পূরণ করে টাইগাররা। ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ নাওয়াজকে ছক্কা মেরে জুটির হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন মেহেদী। যদিও সেই ওভারের শেষ বলে হাসান নাওয়াজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৫ বলে ৩৩ রান করে। ১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮১।
শামীম হোসেন পাটোয়ারি আহমেদ দানিয়েলের বলে হয়েছেন বোল্ড। অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। ফলে একশর আগেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ষষ্ঠ উইকেট। যদিও আশার আলো হয়ে আছেন জাকের আলী। পরের ওভারে ফিরেছেন তানজিম হাসান সাকিবও। সালমান মির্জার বলে তিনি এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দেন ফখর জামানকে।
১৮তম ওভারে রিশাদ হোসেনকে বোল্ড করে আউট করেছেন আব্বাস আফ্রিদি। ৮ উইকেট তাই বাংলাদেশ শঙ্কায় পড়ে যায় অল আউটের। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই আব্বাস আফ্রিদিকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাঁকান জাকের। পরের বলটি হয় ডট। তবে তৃতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন শরিফুল ইসলাম। তাও মাত্র ১ রান করে। লং অফে ঠেলে দুই রানের চেষ্টায় ছিলেন জাকের। তবে শরিফুল ক্রিজে ফিরতে পারেননি। ফলে ফিরে যেতে হয় তাকে। পরের বলে ছক্কা মেরে ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান জাকের। ইনিংসের শেষ বলে জাকের ফিরলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৩ রানে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.