ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বহুল আলোচিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। যদিও ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তির ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে দুই দেশই সমঝোতার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। চুক্তির ঘোষণা সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাসে হতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশে ফিরেছে। এবার মার্কিন প্রতিনিধিরা আগস্টের মাঝামাঝি ভারতে আসছেন। লক্ষ্য—চুক্তি সই না হলেও অন্তত মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছানো। এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীও বলেছেন, ১ আগস্টের সময়সীমা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আলোচনার দরজা খোলা থাকবে। উভয় দেশ ইস্পাত, কৃষি, গাড়িশিল্প এবং উচ্চপ্রযুক্তিপণ্য নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে।
ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তিতে শুল্ক হ্রাস, বিশেষ করে শ্রমনির্ভর খাত ও ইস্পাত-অ্যালুমিনিয়াম খাতে সুবিধা চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বৈদ্যুতিক যান, ওয়াইন, কৃষিপণ্য এবং পেট্রোকেমিক্যালে ছাড় চায়। ভারত বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নীতিমালায় যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা শুল্ক আরোপের অধিকার জানিয়েছে, তবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
বর্তমানে দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উভয় পক্ষ।
এদিকে ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য চুক্তিও প্রায় চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরে এই চুক্তি সই হতে পারে। এতে করে ভারতের ৯৯ শতাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই সব চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে ভারতের অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.