রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তারা প্রত্যেকেই শিশু। যারা আহত হয়েছেন, তারাও বেশিরভাগ শিশু।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
এ সময় বিমান বিধবস্তের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন। ১৭ জন শিশুর মধ্যে ৭ জন শিশু এতটাই পুড়েছে যে, তাদের শনাক্ত করা যায়নি। তাদের দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৪ জন ভর্তি আছেন।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে উদ্ধারকর্মী, স্কুলের শিক্ষক, ফায়ার সার্ভিস-কর্মী ব্যতীত বেশিরভাগই শিশু। তাদের সংখ্যা একশ জনের ওপরে। খুবই অল্প সংখ্যক শিশু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে। বাকিরা এখনও মেডিক্যালে ভর্তি। সবচেয়ে ক্রিটিকাল রোগীরা এই বার্ন ইনস্টিটিউটে আছে। এ সময় ঢাকা মেডিক্যাল ও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের টিম থাকার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ৭ হাসপাতালে মোট ৮৮ জন ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ৯ জন ভর্তি রয়েছেন। যারা মারা গেছেন তারা প্রত্যেকেই শিশু। যারা আহত হয়েছেন, তারাও বেশিরভাগ শিশু। এছাড়া আহতদের মধ্যে উদ্ধারকর্মী, ২ জন শিক্ষক ও স্টাফ রয়েছেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.