নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে কৃত্রিম সংকট, নিম্নমানের পণ্য, চাঁদাবাজি, নিরাপত্তাহীনতা, পণ্য আমদানির জটিলতা, স্টোরেজের অভাব ও প্রতিযোগিতাহীনতাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) আয়োজিত সংলাপে বক্তারা বলেন, কার্যকর বাজার তদারকির অভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতা বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রভাবেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে।
ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বলেন, একটি সমন্বিত ও জবাবদিহিতামূলক বাজার তদারকি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি মোহাম্মদ আলীম আখতার খান জানান, জনবল সংকটে ৬৪ জেলার মধ্যে মাত্র ১৯টিতে কার্যক্রম রয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে।
প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য ড. আখতারুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রতিযোগিতা না থাকলে মূল্যবৃদ্ধি ও অনিয়ম বাড়ে।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, স্টোরেজের ঘাটতি, আমদানি জটিলতা, অতিমুনাফা ও ন্যায্য দাম নির্ধারণের অভাব বাজার অস্থিরতার বড় কারণ।
সংলাপের শেষ পর্বে বক্তারা একটি ডিজিটালাইজড, স্বচ্ছ ও কেন্দ্রীয় বাজার মনিটরিং সেল গঠনের আহ্বান জানান।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.