ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি গতকাল বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের শহর মসুলের পুনর্নির্মিত বিমানবন্দর উদ্বোধন করেছেন। প্রায় ১১ বছর আগে আইএসআইএলের (আইএসের) ধারাবাহিক হামলায় বিমানবন্দরটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানির গণমাধ্যম দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বিমানবন্দর মসুল এবং অন্যান্য ইরাকি শহর ও আঞ্চলিক গন্তব্যের মধ্যে একটি নতুন সংযোগ হিসেবে কাজ করবে।
বুধবার আল-সুদানিকে বহনকারী উড়োজাহাজটি অবতরণের মধ্য দিয়ে মসুল বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, আগামী দুই মাসের মধ্যেই এই বিমানবন্দরকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা যাবে। প্রায় তিন বছর আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাজেমি বিমানবন্দরটির পুনর্নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
বিমানবন্দরের পরিচালক আমার আল-বায়াতি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বিমানবন্দরটি এখন অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে এই বিমানবন্দর থেকে তুরস্ক ও জর্ডানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের জুনে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএল) ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখল করে। এসব চরমপন্থী এখান থেকেই নিজেদের প্রচারিত ‘খেলাফত’ ঘোষণা করেছিলেন। শহরটি দখলের পর তাঁরা ইরাক ও পার্শ্ববর্তী সিরিয়ার বিশাল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লাখ লাখ মানুষের ওপর কঠোর শাসন চাপিয়ে দেন। সে সময় হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারান।
মসুল বিমানবন্দরের নতুন যাত্রা শহরটির দীর্ঘদিনের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.