রেকর্ড গড়ার পরদিনই বড় ধাক্কা, বিটকয়েনের দাম কমেছে ৩.৬ শতাংশ

ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের দরপতনে হোঁচট খেয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজার। সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্য স্পর্শ করার পরদিনই বিটকয়েনের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এতে করে এর মূল্য কমে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ ডলারে নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার বিটকয়েনের মূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেলেও পরদিন মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ) তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে পরিচিত বিটকয়েনের এই পতনের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বের ডিজিটাল মুদ্রা বাজারে। ক্রিপ্টো বিশ্লেষণ সংস্থা কয়েনমার্কেটক্যাপ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের মোট মূল্য ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে এখন ৩ দশমিক ৬৭ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

শুধু বিটকয়েন নয়, বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিজিটাল মুদ্রা ইথেরিয়ামের দামও কমেছে। মঙ্গলবার এটি ২ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ২ হাজার ৯৭৮
বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের দাম প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ালেও, এই হঠাৎ দরপতন আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে ক্রিপ্টো বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিটকয়েনের দামের হঠাৎ ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের জন্য অস্থিরতা তৈরি করে। যেহেতু এটি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, তাই এর মূল্য পুরোপুরি বাজার চাহিদা, জল্পনা ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকেতের ওপর নির্ভর করে।

বিটকয়েন একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল মুদ্রা। এর পেছনে নেই কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সব লেনদেন সংরক্ষিত হয় ব্লকচেইন নামের একটি পাবলিক লেজারে, যা বিশ্বের হাজার হাজার সার্ভারে ছড়িয়ে থাকা ‘নোড’-এ সংরক্ষিত থাকে।

বিটকয়েন কেনা যায় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। তবে অধিকাংশ মানুষ পুরো একটি বিটকয়েন কেনার সামর্থ্য রাখেন না এর উচ্চ দামের কারণে। আবার মাইনিং বা নতুন বিটকয়েন উৎপাদন প্রক্রিয়াও শ্রমসাধ্য এবং ব্যয়সাপেক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিটকয়েন ও অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। কারণ যত দ্রুত এই মুদ্রাগুলোর দাম বাড়ে, ঠিক তত দ্রুতই কমেও যেতে পারে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.