নতুন রেকর্ড গড়েছে বিটকয়েন

নতুন রেকর্ড গড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন। প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ২০ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ডিজিটাল সম্পদ খাতে কাঙ্ক্ষিত নীতিগত অগ্রগতির প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীদের আস্থায় এই ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করছে।

ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর বিটকয়েনের এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সবাই এখন কমবেশি অবগত। সেটা হলো, বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় ট্রাম্প অনেক বিটকয়েনবান্ধব। এমনকি তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র হবে বিটকয়েনের রাজধানী; সেই সঙ্গে তাঁর প্রশাসনে আছেন বিটকয়েনপ্রেমী ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।

এশিয়ান লেনদেন সেশনে বিটকয়েনের দাম পৌঁছে যায় ১ লাখ ২১ হাজার ২০৭ ডলার ৫৫ সেন্টে। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। পরে কিছুটা কমে গিয়ে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ঊর্ধ্বে, ১ লাখ ২০ হাজার ৮৫৬ ডলারে।

আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, এই মুহূর্তে বিটকয়েন একাধিক ইতিবাচক প্রভাবের সঙ্গে এগোচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক চাহিদা, ভবিষ্যতের মুনাফার প্রত্যাশা এবং রাজনৈতিক সমর্থন মিলেই এটি চালিত হচ্ছে। বিগত ছয়-সাত দিনে এমন শক্তিশালী ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে যে এর থেমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খুব সহজেই এটি ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের দিকে এগোতে পারে।

সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ক্রিপ্টো খাতের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা নিয়ন্ত্রক কাঠামো নিয়ে একাধিক বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। এসব বিলের মাধ্যমে ডিজিটাল সম্পদের জন্য সুস্পষ্ট আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ওকেএক্স সিঙ্গাপুরের প্রধান নির্বাহী গ্রেসি লিন বলেন, আমরা লক্ষ করছি, বিটকয়েন এখন শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারী বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েই নয়, কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকেও দীর্ঘমেয়াদি রিজার্ভ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এই ঊর্ধ্বগতি অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিকেও প্রভাবিত করছে। সোমবার দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়াম (ইথার) পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৮ ডলারে পৌঁছে শেষ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬ ডলারে লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কোইনমার্কেটক্যাপ জানিয়েছে, ক্রিপ্টো খাতের মোট বাজারমূল্য এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৭৮ ট্রিলিয়ন ডলার।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.