যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শেষে যে চুক্তি হবে, তা প্রকাশ করা যাবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, ১০ এবং ১১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেটা ইতিবাচক। আগামী সপ্তাহে বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ প্রতিনিধি দল আবারও যুক্তরাষ্ট্র যাবেন শুল্ক আরোপের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে যে চুক্তি হবে, তা কোনোভাবেই প্রকাশ করা যাবে না। বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখবে। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায় সরকার। এ জন্য যা যা করা প্রয়োজন সরকার তা করবে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে দেশের রফতানিযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

এ সময় শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে দেশে ফিরে এসব কথা জানান তিনি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পণ্যের ওপর যৌক্তিক শুল্ক আরোপ করবে। শূন্য শুল্ক যৌক্তিক বলে তিনি মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নয়।

এ সময় উপস্থিত বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, আগামী ১ আগস্টের আগেই আলোচনার একটি কার্যকর নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি। ব্যবসায়ীরা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।

তিনি আরও জানান, ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও আলোচনা করবে বাংলাদেশ। এজন্য শিগগিরই আবার যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এ সমস্যা কাটাতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.