জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ শতাধিক

গত জুন মাসে দেশে ৬৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত ও ১৯০২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রেলপথে ৫৪টি দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত, ১৪ জন আহতের তথ্য উঠে এসেছে। নৌ পথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৭৪৩ টি দুর্ঘটনায় ৭৮০ জন নিহত ও ১৯১৬ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ২২৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন নিহত ও ২১২ জন আহত হয়েছে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৩৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ১১.১৪ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৬০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে। ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৯ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৪৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন শিক্ষক, ১০৫ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ০২ জন চিকিৎসক, ২ জন প্রকোশলী এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ২ জন চিকিৎসক, ২ জন প্রকোশলী, ১১৫ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৪ জন পথচারী, ৮৪ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ জন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৭৪টি যানবাহন শনাক্ত করা গেছে। এতে দেখা যায়, ২৬.৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিককাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.৯৪ শতাংশ বাস, ১২.৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬.৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭.৭০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৯৮ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.২৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৯.৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.৭০ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২৯ শতাংশ এবং ০.৭৪ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৯.৬৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩১.১৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৩.৫৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.০২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৮৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৭৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.