প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, রোজার আগেই নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন প্রস্তুতি এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আরও বলেছেন নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোসহ যা কিছু দরকার সেটা এখন থেকেই শুরু করতে হবে।
বুধবার (৯ জুলাই) নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে উনি (ড. ইউনূস) বলেছেন এপ্রিলের প্রথমার্ধে হবে। পরে আমরা বলেছি সংস্কারগুলো হলে ফেব্রুয়ারি, রোজার আগেও হতে পারে। এটা বলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সব প্রস্তুতি নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও শফিকুল আলম জানান।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বাহিনীর সাথে এক বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৮-৩৩ বছর বয়েসীদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা ও আলাদা বুথ করা যায় কি-না তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন এবার অনেক নতুন ভোটার ভোট দিবেন। শেখ হাসিনার তিনটি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিলো। তরুণরা কেউ ভোট দিতে পারেনি। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) সভায় বলেছেন ১৮-৩৩ বছর বয়সীদের একটা পৃথক ভোটার তালিকা ও তাদের জন্য যেন আলাদা বুথ রাখার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন যে কীভাবে নিশ্চিত করা যায়।
ভোটারদের জন্যও নির্বাচনের নিয়ম বর্ণনা করে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, টেলিভিশনে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওগুলো প্রচার করতে হবে। জরুরি নম্বরগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে যাতে কোনো ভোটারের অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিতে পারে। কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ভোটার যেন সরাসরি কানেক্ট থাকতে পারে।
নারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অর্ধেক ভোটার নারী। কেউ যেন ভোটের অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করতে না পারে। এজন্য পর্যাপ্ত নারী সদস্য ও কর্মকর্তা মোতায়েন থাকতে হবে।
যারা প্রথমবারের মতো ভোট দেবে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ১৬ বছর মানুষ কোনো ভোট দেখে নাই। ভোটারের স্মৃতিতে আছে ভোটকেন্দ্রে মারামারি, ভোটচুরি। আগামী নির্বাচনে ভোটারদের যেন একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়, একটা সুন্দর স্মৃতি থাকে। প্রথম ভোট যারা দেবে এটা তাদের জন্য গৌরবের। সে যেন ভালো অনুভব করে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.