বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস এবং ২৩৬ রানে ম্যাচ জিতেছে সাউথ আফ্রিকা। দলীয় অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই উইয়ান মুল্ডার খেলেন অপরাজিত ৩৬৭ রানের একটি ঐতিহাসিক ইনিংস। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে সাউথ আফ্রিকা পাঁচ উইকেটে ৬২৬ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। এরপর ১২০ ওভারের মধ্যেই দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে অল আউট করে ম্যাচ শেষ করে সাউথ আফ্রিকা।
অপরাজিত এই ইনিংস মুল্ডারের ক্যারিয়ারে বড় অর্জন হলেও আলোচনায় এসেছে তার ইনিংস ঘোষণার সময়। কারণ ব্রায়ান লারার অপরাজিত ৪০০ রানের বিশ্বরেকর্ড থেকে তিনি তখন মাত্র ৩৩ রান দূরে ছিলেন। মুল্ডার সেদিন বলেছিলেন, শ্রদ্ধা থেকে তিনি কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙতে চাননি।
তবে মুল্ডারের এমন মনোভাব পছন্দ হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের। তিনি বলেন, ‘আমি যদি কখনও ৪০০ করার সুযোগ পেতাম তাহলে অবশ্যই সেটা করতাম। যখনই এরকম একটা সুযোগ আসে আপনাকে সেটা কাজে লাগাতেই হবে। ভাবুন তো আপনি ৩৬৭ রানে আছেন, স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে রেকর্ডের জন্য চেষ্টা করতেই হবে।’
২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ৩৩৩ রান করা গেইল মনে করেন, মুল্ডার সেই মুহূর্তে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। যার কারণে ইনিংস বড় করতে চাননি তিনি। গেইল বলেন, ‘সম্ভবত সে ঘাবড়ে গিয়েছিল, বুঝতে পারেনি কী করা উচিত। আপনি যদি কিংবদন্তি হতে চান, তাহলে কীভাবে হবেন? কিংবদন্তি হওয়ার জন্য রেকর্ড তো করতেই হবে। আমি মনে করি ওর দিক থেকে এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, অন্তত চেষ্টা না করাটাই ভুল। আমরা জানি না সে ৪০০ করতে পারত কি না। কিন্তু সে ৩৬৭ রানে থেমে ইনিংস ঘোষণা করেছে এবং নিজের মতামত দিয়েছে। কিন্তু শুনুন, এটা জীবনে একবারই আসা সুযোগ। টেস্ট ম্যাচে ৪০০ রান! আরে ভাই, তুমি এটা একদম নষ্ট করে ফেলেছো!’
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন মুল্ডারের এই ইনিংসটি এসেছে টেস্ট র্যাংকিংয়ে ১২ নম্বরে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা তার মূল্য কিছুটা কমিয়ে দেয়। তবে গেইলের এই যুক্তি পছন্দ হয়নি। তিনি বলেন, বিরোধী দলের মান কেমন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি যদি কারও বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন, সেটা টেস্ট সেঞ্চুরি। যদি ডাবল বা ট্রিপল করেন, কিংবা ৪০০- সেটাও টেস্ট ক্রিকেটে! এটিই তো চূড়ান্ত মঞ্চ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.