সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি তাই ১-১ ব্যবধানে সমতায়। এদিকে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
এদিকে প্রথম সাফল্য পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইনিংসের চতুর্থ ওভার পর্যন্ত। সেই ওভারের প্রথম বলেই নিশান মাদুশকাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসারের ওভার দ্য উইকেটে করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেন মাদুশকা।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশকে আর কোনো সাফল্য পেতে দেননি নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৫১ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় উইকেটে এ দুজনে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়া তানভির ইসলাম। ৪৭ বলে ৩৫ রান করা নিশাঙ্কা ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমনকে।
কামিন্দু মেন্ডিসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ করে আউট হয়েছেন ১৬ রান করা কামিন্দু। মিরাজের করা স্টাম্পের জোরের ওপর শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়েছিলেন কামিন্দু। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি তিনি। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন করে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সাড়া দিতে সময় নেননি আম্পায়ার। এরপর রিভিউ না নিয়েই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। ফলে ১০০ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট।
একপ্রাপ্ত আগলে রেখে ৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। এই লঙ্কান ব্যাটার আগের ম্যাচেও তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে সেই ম্যাচে ইনিংস বড় করতে পারনেননি তিনি। তানজিম সাকিবের বল ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে ঠেলে এক ম্যাচ খেলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ৩৮তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের চতুর্থ বলটি পয়েন্টে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে ৬০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। সেই সঙ্গে পূরণ হয় দলীয় দুইশও। পরের বলেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ চার মেরে ৯৯ রানে পৌঁছান মেন্ডিস। আর ওভারের শেষ বলে লং অফে বল পাঠিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মেন্ডিস।
তৃতীয় উইকেটে আসালাঙ্কা ও মেন্ডিস মিলে দারুণ এক জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছেন। এই দুজনের ১২৪ রানের জুটি ভেঙেছেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৬৮ বলে ৫৮ রান করা আসালাঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়কের বিদায়ের পর মেন্ডিসকে সঙ্গ দিতে এসেছেন জানিথ লিয়ানাগে।
জানিথ লিয়ানাগে মিরাজের বলে হয়েছেন হিট উইকেট। মিরাজের বল ব্যাকফুটে এসে মিডউইকেট দিয়ে খেলেছিলেন লিয়ানাগে। কিন্তু রানের জন্য দৌড় শুরুর করার আগেই তার পা গিয়ে লাগে স্টাম্পে। ফলে হিট আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৭ বলে ১২ রান করেছিলেন। পরের ওভারে সেঞ্চুরি করা কুশল মেন্ডিসকে আউট করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। এই স্পিনারের শর্ট লেন্থ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে বোলারকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ১২৪ রান করা এই বোলার।
শেষদিকে পরপর টানা তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাসকিন আহমেদের বলে অফ সাইডে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন দুনিথ ওয়েলালাগে। কিন্তু বল উঠে যায় ওপরে। কাভার থেকে ডানে সরে এসে দারুণ ক্যাচ নেন শামীম পাটোয়ারি। ৬ রানে ফেরেন ওয়েলালাগে। এরপর শ্রীলঙ্কার রান বাড়ান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুশমান্থ চামিরা। আর তাতেই শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে। হাসারাঙ্গা ১৮ ও চামিরা ১০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.