জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ

অর্থনীতিতে গতি আরও কিছুটা বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব বলছে, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা অর্থবছরের আগের দুই প্রান্তিকের চেয়ে বেশি।

গত জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ওই তিন মাসের জিডিপির চিত্র প্রকাশ করেছে।

এর আগে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে টান পড়েছিল। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছিল। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় পরের দুই প্রান্তিকে তা আবার বাড়ল।

কৃষি, শিল্প ও সেবা—এই তিন খাত দিয়ে জিডিপি প্রকাশ করা হয়। গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে। এই খাতের প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। এরপর সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং শিল্প খাতে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বিবিএসের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশের ভেতরে স্থির মূল্যে ৮ লাখ ৯২ হাজার ২০ হাজার টাকার মূল্য সংযোজন হয়। আগের প্রান্তিকে এর পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়েছিল।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.