ভারতে ব্যবসায়ী ও বিজেপি নেতা গোপাল খেমকাকে পাটনায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেসময় গান্ধী ময়দান থানা এলাকার ‘পানাচে’ হোটেলের কাছে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে ।
শনিবার (৫ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বিহারের একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা গোপাল খেমকাকে শুক্রবার রাতে পাটনায় তার বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ‘টুইন টাওয়ার’ সোসাইটিতে থাকতেন। অভিযুক্তরা তাকে গুলি করে তাৎক্ষণিকভাবে পালিয়ে যায়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জানা যায়।
বিহার পুলিশ মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)ও গঠন করেছে। এছাড়াও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি এবং একটি খোসা উদ্ধার করেছে।
সিটি এসপি বলেন, ৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে, গান্ধী ময়দান দক্ষিণ এলাকা থেকে আমরা খবর পাই যে ব্যবসায়ী গোপাল খেমকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ হাসপাতাল এবং অপরাধস্থলে পৌঁছায়। এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরাধের কারণ এখনও জানা যায়নি বলে তিনি জানান।
গোপাল খেমকা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার ছেলে গুঞ্জন খেমকাকে তিন বছর আগে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
পূর্ণিয়ার স্বতন্ত্র সাংসদ পাপ্পু যাদব ওরফে রাজেশ রঞ্জন গত রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “বিহারে কেউ নিরাপদ নয়। বিহার অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে! নীতিশ জি, দয়া করে বিহারকে রক্ষা করুন।
যাদবের মতে, যখন খেমকার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছিল, যদি সরকার সেই সময় অপরাধীদের অংশীদার না হত এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিত, তাহলে আজ গোপাল খেমকাকে হত্যা করা হত না।
জাতীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদবও নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনিও এক্স –এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “পাটনার থানা থেকে কয়েক ধাপ দূরে, বিহারের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে! প্রতি মাসে বিহারে শত শত ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু আমরা এটিকে জঙ্গলরাজ বলতে পারি না?
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.