গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০০ জন নিহত

গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়। তারা জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে গাজার বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েল নানাভাবে হামলা চালিয়েছে।

বৃহস্প্রতিবার (৩ জুলাই) কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩৩ জন খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়লি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। এ ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্রগুলো পরিচালিত হয় বিতর্কিত ইসরায়েলি ও মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএফএইচ) মাধ্যমে।

দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি তাবুতে হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের পশ্চিমে মুস্তাফা হাফেজ নামে একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৬ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে আল জাজিরাকে জানিয়েছে গাজার মেডিক্যাল সূত্র।

স্কুল ভবনে আশ্রয় নেয়া আহমেদ মনসুর বলেন, ‘বিমান হামলার তীব্র শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। কেউ বলছে এটা ড্রোন হামলা। এছাড়া লাগাতার গোলাবর্ষণ চলেছিল। মিসাইলগুলো এতটা ধ্বংসাত্মক ছিল যে সবকিছুতে আগুন ধরে যায়। বহু মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যায়।’

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে গাজা সরকার জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অবস্থিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, অস্থায়ী ক্যাম্প ও হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের ভিড়কে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এমনকি ক্ষুধার্ত মানুষ যখন খাবার খুঁজছিল, সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএফএইচ) পরিচালিত সহায়তা কেন্দ্রে একটু খাবারের আশায় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন তাদের ওপর হঠাৎ করে কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই গুলিবর্ষণ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমি আজ সকালে কিছু বেঁচে যাওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলেছে। গুলির তীব্রতার কারণে চিকিৎসা ও জরুরি সহায়তা দল ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। এটা স্পষ্ট করে দেয় যে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।’

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.