বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ নীতিতে শিথিলতা, ঋণ-ইকুইটি অনুপাত বাড়ল

বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের জন্য স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার নিয়ম আরও সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এইসব প্রতিষ্ঠান তাদের মূলধনের সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে, যা আগে ছিল ৫০ শতাংশ।

বুধবার (২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘বিদেশি মুদ্রা লেনদেন নির্দেশিকা-২০১৮ (প্রথম খণ্ড)’-এর ১৬ নম্বর অধ্যায়ের ৪(চ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে অন্তত তিন বছর ধরে সক্রিয় বিদেশি মালিকানাধীন উৎপাদন বা সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো মেয়াদি ঋণ নিতে পারবে।

এই ঋণ সাধারণত উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি বা বিএমআরই (সামঞ্জস্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ) প্রকল্পের জন্য নেওয়া হয়ে থাকে।

এর আগে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ-ইকুইটি অনুপাত সর্বোচ্চ ৫০:৫০ নির্ধারিত ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অনুপাত বাড়িয়ে ৬০:৪০ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এখন থেকে তারা নিজেদের মূলধনের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে।

তবে সার্কুলারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সব বিদ্যমান ঋণ নীতিমালা ও সতর্কতামূলক সীমাবদ্ধতা—যেমন একক ঋণগ্রহীতা সীমা—কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঋণ-ইকুইটি অনুপাত সংক্রান্ত নতুন এই সিদ্ধান্ত ছাড়া পূর্বে জারি করা অন্যান্য নির্দেশনাগুলো বহাল থাকবে। অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল ক্লায়েন্টকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য অর্থায়ন সহজ হবে এবং দেশীয় ব্যাংক ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারত্ব আরও দৃঢ় হবে। পাশাপাশি, উৎপাদন খাতের সম্প্রসারণেও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.