ইসরাইলের ইরানজুড়ে হামলার পর হরমুজ প্রণালী অবরোধের জন্য ইরান প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
বুধবার (২ জুলাই) মার্কিন দুই কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাদের দাবি, গত মাসে পারস্য উপসাগরে ইরানি সামরিক বাহিনী নৌযানে নৌমাইন রাখে। ১৩ জুন ইসরাইল ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এই অপ্রকাশিত তথ্য শনাক্ত করে।
যদিও হরমুজ প্রণালীতে এই মাইনগুলো এখনো স্থাপন করা হয়নি, তবে তেহরানের এমন পদক্ষেপ বিশ্বের ব্যস্ততম এই বাণিজ্যিক রুট বন্ধ করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। এতে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়ে যেত এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়ত।
বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল ও গ্যাসের চালান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যায়। এটি বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানির দামে বড় ধরণের উল্লম্ফনের আশঙ্কা দেখা দিত।
তবে বর্তমানে বৈশ্বিক তেলের দাম ১০ শতাংশের বেশি কমেছে, আংশিকভাবে কারণ মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা সত্ত্বেও তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি।
গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি মূল পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করার পর ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী অবরোধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে। যদিও এটি বাধ্যতামূলক ছিল না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হাতে ছিল।
ইরান অতীতে একাধিকবার প্রণালী বন্ধের হুমকি দিলেও কখনো তা বাস্তবায়ন করেনি।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.