পুঁজিবাজারে ব্যাংক ঋণের বিকল্প হতে পারে বন্ড ও শেয়ার

দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংক ঋণের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পুঁজিবাজারের বন্ড ও শেয়ারকে মূল উৎস হিসেবে ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। আজ অনুষ্ঠিত যৌথ কমিটির প্রথম সভায় এ বিষয়ে নীতিগত আলোচনা এবং বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

মঙ্লবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রচার ও জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ এজাজুল ইসলাম। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ডিএমডি) মোঃ ইস্তেকমাল হোসেন, পরিচালক (গবেষণা) মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, বিএসইসির পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরিদ আহমেদ, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেইন এবং কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্মপরিচালক মোঃ রেজাউল হাসান।

সভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে আলোচনা হয়— যাতে বলা হয়েছে, দেশের বৃহৎ কোম্পানিগুলো যেন দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারে বন্ড বা শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়।

কমিটির ভবিষ্যৎ কার্যপরিধি ও করণীয় বিষয়ে রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষত অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি— এই তিন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দেশের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের একটি শক্তিশালী বিকল্প উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুসরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে এবং বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আশা প্রকাশ করেছে, সরকারের দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই সমন্বিত উদ্যোগ ভবিষ্যতে দেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ সুগম করবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.