কাস্টমস কর্মকর্তাদের দীর্ঘমেয়াদী কলম বিরতি ও ছুটির কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কন্টেইনার রেন্ট স্বাভাবিক হারের তুলনায় চার গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। ফলে বাড়ছে আমদানি খরচ, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে দেশীয় দ্রব্যমূল্যের ওপর এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিল্পকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলছেন, কোনো দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নির্ভর করে সেই দেশের শিল্প-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ পরিবেশের গতিশীলতার ওপর। অথচ রাজস্ব বোর্ড ও কাস্টমস বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিজেদের একতরফা কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্পখাতকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরের কন্টেইনার ধারণক্ষমতা যেখানে ৫৪ হাজার টিইইউস, সেখানে ২৬ জুন পর্যন্ত বন্দরে অবস্থান করা কন্টেইনারের সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার। কাস্টমস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ছাড় বিলম্ব হচ্ছে, ফলে বন্দরের উপর চাপ বেড়েছে। এই সুযোগে কন্টেইনার রেন্ট চার গুণ বৃদ্ধি করে আদায় করা হচ্ছে, যা এক অস্বাভাবিক আর্থিক বোঝা হয়ে উঠেছে আমদানিকারকদের জন্য।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ঈদুল আজহার ছুটির পাশাপাশি দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা কলম বিরতির ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এতে শুধুমাত্র আমদানিকারকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, সাধারণ ভোক্তারাও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরী বলেন, “আমরা সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের শিল্প ও রপ্তানি খাত গভীর ক্ষতির মুখে পড়বে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ স্বাভাবিক করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের অর্থনীতি রক্ষা করা হয়।”
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.